প্রাথমিক তথ্য-
চারা তৈরি করে মূল জমিতে রোপণের পর অনেক চারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই চারাকে পর্যাপ্ত আলো বাতাস পাওয়ার জন্য ও পাতা, কাণ্ড, শেকড় সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে দেয়ার জন্য দ্বিতীয় বীজতলায় অল্প বয়সেই চারা স্থানান্তর করতে হয়। চারা বীজতলায় থাকা অবস্থায় প্রখর রৌদ্রের তাপ ও শীতের প্রভাব এবং পানির অভাব কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করে চারাকে টিকে থাকতে অভ্যন্ত করতে হয়। চারাকে কষ্ট সহ্য করে টিকে থাকার সংগ্রামই হচ্ছে কষ্ট সহিষ্ণুতা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১। বীজ গাজানো অবস্থার বীজতলা বা পাত্রে গজানো বীজতলা, ২। অগার/নিড়ানি, ৩। দ্বিতীয় বীজতলা তৈরি অবস্থায়, ৪। পানি, ৫। ঝাঁঝরি, ৬। চালা ৭। খাতা কলম ।
কাজের ধাপ
১. ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলী, বেগুন, টমেটো, মরিচ, শশা ইত্যাদির চারা দ্বিতীয় বীজতলায় স্থানান্তরের জন্য প্রথম বীজতলা তৈরির অব্যহিত পরেই তৈরি করতে হবে।
২. প্রথম বীজতলার ন্যায় দ্বিতীয় বীজতলাও ৩ ১ মিটার চওড়া এবং ৭-১৫ সেমি. উঁচু (শীতকালে ও গ্রীষ্মকালে) করে তৈরি করতে হবে।
৩. বীজতলায় ২০ কেজি গোবর সার, ৬ গ্রাম ইউরিয়া, ৪ গ্রাম টিএসপি, ৬ গ্রাম এমওপি সার এবং তৎসঙ্গে ১ গ্রাম সেভিন মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এ পদ্ধতিতে প্রথম বীজতলার চারা গজানোর ৫-৭ দিন পরে ৩-৪ পাতা বিশিষ্ট হলে প্রথম বীজতলা হতে বিকালের দিকে কাঠি দিয়ে চারা উঠায়ে দ্বিতীয় বীজতলায় ৬-৮ সেমি. দূরে দূরে সারিতে ৪-৫ সেমি. দূরে দূরে। চারা রোপণ করতে হবে।
৫. বীজতলা হতে চারা উঠায়ে মূল জমিতে রোপণ করার পর অনেক সময় কষ্ট সহ্য করতে পারে না তাই বীজতলায় থাকা অবস্থায় চারার ছায়া থাকলে তা সরায়ে রৌদ্র পড়তে দিতে হবে, মাঝে মাঝে বীজতলা শুকাতে দিতে হবে। এতে চারার ওপর চাপ সৃষ্টি হবে এবং কষ্ট কাটিয়ে উঠতে সহ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
৬. প্রথম যে দিন চারাকে কষ্ট দেয়া হবে, ক্রমান্বয়ে কষ্ট বাড়ায়ে দিতে হবে। তাতে কষ্ট সহিষ্ণতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে একনাগাড়ে চারাকে কষ্ট দিতে হয় না। মাঝে মাঝে সুযোগ-সুবিধা দিতে হয়।
৭. এ প্রক্রিয়া চারায় শ্বেতসার বৃদ্ধি পাবে এবং মূল জমিতে রোপণের পর দ্রুত লেগে যেতে পারে এবং বেশি সংখ্যক নতুন শিকড় গজাতে পারে ।
Read more